সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত আজকের এই পোস্টে আমরা তুলে ধরব। ইউরোপ মহাদেশের সেনজেন ভুক্ত যে সকল দেশ রয়েছে তার মধ্যে সার্বিয়া পরে না। সেনজেনভুক্ত দেশ না হওয়ায় ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে সুযোগ সুবিধা আপনি কিছুটা কম পাবেন। যেহেতু সার্বিয়া সেনজেন ভুক্ত দেশ নয় তাই এখানে ইউরোপের মত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশা করা অনেকটা বোকামী বললেই চলে। তবুও যারা ইউরোপের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে যেতে চায় তার মধ্যে সার্বিয়া অন্যতম। বিশেষ করে এশিয়া থেকে সার্বিয়ার চাহিদা বেশি।
আমাদের বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা সার্বিয়া গিয়েছে, আবার অনেকেই সার্বিয়া যেতে ইচ্ছুক। তবে সার্বিয়া যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই যারা সার্বিয়া রয়েছে তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে তারপর যাওয়া ভালো। কেননা এ ক্ষেত্রে আপনি কোন প্রকার প্রতারণার শিকার হবেন না। যারা সার্বিয়া যেতে চান তাদের জন্য জেনে রাখা ভালো সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও এর বেতন কত। সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও এর বেতন কত নিচে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
সার্বিয়া বেতন কত
জেনে রাখা ভালো সার্বিয়ার সাপ্তাহিক কাজের ডিউটি ৪০ ( চল্লিশ ) ঘন্টা হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে ডিউটি এর পরিমাণ কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে মনে রাখবেন তারা আমাদের দেশের মানুষের মতো না। আপনাকে দিয়ে এক্সট্রা কাজ করালে তারা ওই কাজের বেতন দিবে। যদি আপনি ৪০ ঘন্টার বেশি ডিউটি করে থাকেন তাহলে স্যার আপনাকে অতিরিক্ত ঘন্টার জন্য অতিরিক্ত টাকা প্রদান করবে। নিচে কাজের নাম ও বেতন তুলে ধরা হলোঃ
১। রিসেপশনিস্ট ⇔ ৭৫০০০ থেকে ৯০০০০ টাকা।
২। ডেলিভারি ম্যান ⇔ ৮০০০০ থেকে ১২০০০০ টাকা।
৩। ওয়েটার ⇔ ৮০০০০ থেকে ১০০০০০ টাকা।
৪। কনস্ট্রাকশন ⇔ ৭০০০০ থেকে ৯০০০০ টাকা।
৫। ড্রাইভিং ⇔ ৬০০০০ থেকে ৮০০০০ টাকা।
৬। প্লাম্বার ⇔ ৮০০০০ থেকে ১০০০০০ টাকা।
৭। ইলেকট্রিশিয়ান ⇔ ৮০০০০ থেকে ১০০০০০ টাকা।
৮। শেফ ⇔ ৭০০০০ থেকে ৯০০০০ টাকা।
৯। কৃষিকাজ ⇔ ৭০০০০ থেকে ৯০০০০ টাকা।
১০। কারখানার কাজ ⇔ ৭০০০০ থেকে ৯০০০০ টাকা।
১১। মোবাইল সার্ভিস ⇔ ৮০০০০ থেকে ১২০০০০ টাকা।
Read More
ভাতিজিকে নিয়ে উক্তি, ক্যাপশন, স্ট্যাটাস ও কবিতা
সার্বিয়া কাজের বেতন কত
এটা সবার জানা কাজের বেতন নির্ভর করে কাজের দক্ষতা, যোগ্যতা এর উপর। যদি আপনি কোন কাজের প্রতি দক্ষ থাকেন তবে সেই কাজের ভিসা নিয়ে বাইরের দেশে যাওয়া ভালো। এক্ষেত্রে আপনার যদি কাজের দক্ষতা ভালো থাকে তাহলে আপনার বেতন অবশ্যই বেশি হবে। আর আপনি যদি অদক্ষ শ্রমিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই দক্ষ শ্রমিকের তুলনায় আপনার বেতন তুলনামূলকভাবে কম হবে। যদি আপনি ইলেকট্রিক কাজে দক্ষ থাকেন তবে আপনার বেতন হবে ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা।
আর যদি আপনি দক্ষ না থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন হবে 50000 থেকে 70 হাজার টাকা। তাই আপনি নির্ধারণ করেন আপনি দক্ষ হয়ে তারপর বিদেশ যাবেন না অদক্ষ হয়ে যাবে। তবে বর্তমানে মোবাইল সার্ভিসের কাজের চাহিদা বিদেশে বেশি। আপনি যদি মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ ভালো পারেন তাহলে আপনার বেতন হবে ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা। তবে আপনার কাজের দক্ষতা বেশি ভালো থাকলে তাহলে বেতনের পরিমাণ আরো বেশি হবে।
সার্বিয়া সর্বনিম্ন কাজের বেতন কত
সার্বিয়া সর্বনিম্ন কাজের বেতন ৬০ হাজার টাকা। এখানে সর্বনিম্ন কাজের বেতন হয়ে থাকে যারা অদক্ষ শ্রমিক। যাদের নির্দিষ্ট কোন দক্ষতা নেই তাদেরকে দিয়ে সার্বিয়ার বিভিন্ন কোম্পানি নানা ধরনের কাজ করিয়ে থাকে। যেহেতু তাদের নির্দিষ্ট কোন কাজ নেই তাই তাদের বেতন অনেক কম হয়ে থাকে।
সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সার্বিয়া যেতে ৮ লক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা খরচ হয় সব মিলিয়ে। হবে ডলারের দাম যদি কমে তাহলে খরচের পরিমাণ কিছুটা কম হয়। আবার ডলারের দাম বাড়লে খরচের পরিমাণ কিছুটা বেশি হয়। যেহেতু বাংলাদেশের কাজের ভিসা সংক্রান্ত সবকিছু প্রাইভেট কোম্পানি চালায় তাই এখানে খরচের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য দেশ থেকে সার্বিয়া যেতে খরচ হয় বাংলার ১ লক্ষ থেকে ১,২০,০০০ হাজার টাকা। বুঝতেই পারছেন বাংলাদেশের খরচের পরিমাণ ৮ গুন হয়ে থাকে।
সার্বিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
সার্বিয়া অনেক কাজের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে সার্বিয়ার সরকার তাদের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক মানুষ কাজের ভিসা নিয়ে সার্বিয়া যাচ্ছে। চলুন নিচে থেকে দেখে নেই সার্বিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি।
১। কনস্ট্রাকশন কাজ ।
২। কৃষি কাজ।
৩। ফ্যাক্টরির কাজ।
বর্তমানে এই তিন সাথে কাজের পরিমাণ বেশি রয়েছে এবং এই কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে। যদি আপনি কনস্ট্রাকশন কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি দেরি না করে সার্বিয়া কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারেন।