সবাইকে শীতের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম। শীত নিয়ে নতুন কিছু কবিতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব। শীতের কবিতা গুলো পড়তে নিশ্চয়ই আমাদের সবার কাছেই ভালো লাগে। এছাড়া আমরা শীতের কবিতা গুলো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে দিতে পারব। শীতের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন আনন্দ অনুষ্ঠান করতে পারি। এ আনন্দ অনুষ্ঠানে শীত নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক কবিতা সমূহ আবৃত্তি করতে পারি। এতে করে আমাদের সবারই মন ভালো থাকবে এবং সবাই মিলে মিশে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা শীতকে বরণ করে নিতে পারি। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শীত নিয়ে লেখা কবিতা গুলো দেখে নিই।
শীত নিয়ে কবিতা
শীতের মাস সৌখিন মাস
বাঙালি করে আনন্দ উল্লাস
শীতের দিনের নানা আয়োজন
গড়ে তুলে হৃদয়ের বন্ধন।
শীতের তীব্রতা স্বাভাবিক হলে
দিন কাটে অনেক ভালো
পূর্ব আকাশে সূর্য মামা
ফুটিয়ে তোলে আলো।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা জমে
শীতের দিনে অনেক বেশ
সবার সাথে মুহূর্তগুলো
মনের ভেতর থাকে রেস।
চাদর জড়িয়ে, মাফলার পেচিয়ে
শরীর রাখো ঢেকে
শীতের অধিক তীব্রতায়
হাড়গুলো যাবে বেঁকে।
শীতের দিনে সূর্য মামা
মাঝে মাঝে দেয় উকি
হঠাৎ করে ডুবে গিয়ে
দিয়ে যায় আমাদের ফাকি।
শীতের পাখি উড়ছে আবার
দূর আকাশে ভেসে
প্রিয় ঋতুর আগমনে
যাচ্ছে সবাই হেসে।
গ্রীষ্মের উত্তাপ কাটিয়ে
এসেছে আবার শীত
কুয়াশাতে ভরে গেছে
দূর পাহাড়ের ভীত।
প্রশান্ত মন শীতের ভোরে
অন্ধকার কুয়াশা উপেক্ষা করে
মন হারিয়ে যায় বহু দূরে
প্রাণ ছুটে যায় অচিনপুরে।
শীত যদি আসে এবার
যেতে দেব না আর
এই কথা ভাবতে ভাবতে
শীত চলে যায় আবার।
শীতের বাতাস সবার মনে
দিয়ে যায় রংয়ের দোলা
এই শীতে সবাই মিলে
একসাথে হোক চলা।
যতবার শীত আসবে
ততবার মন হাসবে
শীত সবার প্রিয় মাস
এই ঋতু চাই বারো মাস।
প্রকৃতিকে প্রশান্ত করে
শীত আসে সবার মাঝে
এই শীত আবার চলে যায়
সকল গাছের পাতা ঝরিয়ে।
মাঠে মাঠে সোনার ফসল
বাজারে সবজির মেলা
শীতের দিন রাত চলে
ব্যাডমিন্টন, ভলিবল খেলা।
শীতের ঠান্ডা হাওয়া
গোসলে আনে অনিহা
গোসল দেওয়া হয়ে গেলে
দূর হয়ে যায় শীতের তীব্রতা।
আসবে আবার চলে যাবে
এটি তো ঋতুর নীতি
নীতি যদি বদলানো যায়
শীত চাইতাম বারো মাসই।
শীতের চাদর উঠলো গায়ে
শুরু হলো শীতকাল
হাঁটতে পারবে না খালি পায়ে
নৌকায় উঠবে পাল।
শীতের দিনে মাঠে মাঠে
কুয়াশায় ভিজে থাকে ঘাস
প্রকৃতি সুন্দর করে দেয়
সরিষা ফুলের চাষ।
অন্ধকার রাস্তায় কুয়াশা কাটিয়ে
চলছে গাড়ি বহুদূরে
চালক ভাইয়ের কষ্ট হলেও
এগিয়ে যায় সে পেটের দায়ে।
কষ্ট করে জেলে ভাইয়েরা
ঠান্ডায় নামে পানিতে
তীব্র শীতে মাছ ধরে যায়
হাসি ফুটাতে বাড়িতে।
সরিষা ফুলের সুন্দর ঘ্রানে
চারদিক যায় ভরে
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না
একলা একা ঘরে।
শীতের দিনে গরম ভাতে
রংবেরঙের সবজি দিয়ে
সকলেই করে আহার
হরেক রকমের খাবার।
মাঠে মাঠে কৃষক ভাইয়েরা
করে যায় তাদের কাজ
শীতকে তারা উপেক্ষা করে
করে ফসলের চাষ।
রংবেরঙের ডিজাইনে
তৈরি হয় শীতের জামা
সবাই কি আর কিনতে পারে
নেই তো সবার ক্ষমতা।
শীতের জামা ছোট হলে
গরিবদের মাঝে দাও বিলিয়ে
ক্ষমতা যদি থাকে তোমার
নতুন জামা দাও কিনে।
শীতের মাঝে আগুন জ্বালিয়ে
শীত করে নিবারণ
এরই মাঝে সবাই মিলে
করে যায় অনেক বিনোদন।
শীতের দিনে খেজুর গাছে
বেধে দেওয়া হয় কলস
প্রতিদিন সকালবেলা
পারা হয় খেজুরের রস।
হরেক রকম পিঠেপুলির
আয়োজন হয় শীতের মাসে
শীতের পিঠের ধুম পরে যায়
আমাদের আশেপাশে।
সরিষা গাছে ফুল আসে
ভ্রমর এসে দেয় ছোঁয়া
চারদিকে শুরু হয়ে যায়
মধু সংগ্রহের মেলা।
অতিথি পাখির কিচিরমিচির
শুরু হয়ে যায় আশেপাশে
এ পাখির শব্দ শুনতে পাই
যখনি শীত আসে।
চায়ের দোকানে আড্ডা জমে
সকাল কিংবা রাতে
এই আড্ডা বেশি হয়
শীতের সময়টাতে।
শীত নিয়ে লেখা কবিতাটি আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।