আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি আপনারা যদি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনারা জানতে পারবেন ঢাকা থেকে মুম্বাই বিমান ভাড়া কত এবং ঢাকা থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে কোন কোন এয়ার লাইন্স কোম্পানির বিমান চলাচল করে তার সকল তথ্য।

আপনারা আরো জানতে পারবেন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ঢাকা থেকে মুম্বাইয়ের দূরত্ব কত কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে মুম্বাই যেতে কত সময় লাগে। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। তাহলে আর বেশি দেরি না করে চলুন এখনই নিচে থেকে দেখে নেয়া যাক, ঢাকা টু মুম্বাই বিমান ভাড়া কত এইসব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

ঢাকা টু মুম্বাই বিমান ভাড়া কত

আপনারা যারা ঢাকা থেকে মুম্বাই আকাশ পথে যেতে যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন বিমান ভাড়া সম্পর্কে। কেননা আপনি বিমান ভাড়া জানলে কোন জায়গায় প্রতারিত হবেন না আর না জানলে বিভিন্ন জায়গায় প্রতারিত শিকার হতে পারেন। তাই এখান থেকে আপনারা জেনে নিতে পারেন ঢাকা টু মুম্বাই বিমান ভাড়া।

1. ইন্ডিগো এয়ার ঢাকা টু মুম্বাই বিমান ভাড়া ২৭,০০০ থেকে ৭৫,০০০ টাকা পর্যন্ত।
2. শ্রীলংকা এয়ারলাইন্সঃ ঢাকা টু মুম্বাই বিমান ভাড়া হচ্ছে ইকোনোমিক ক্লাসের ২৭,৮০০ টাকা থেকে ২৯,৮০০ টাকা পর্যন্ত।
3. ফ্লাই দুবাই ঢাকা টু মুম্বাই বিমান ভাড়া ৯০,০০০ থেকে ১,১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত।
4. বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সঃ ঢাকা টু মুম্বাই বিমান ভাড়া হচ্ছে ইকোনোমিক ক্লাসের ২৪,৬০০ টাকা থেকে ২৭,৮০০ টাকা পর্যন্ত।
5. কাতার এয়ারওয়েজ ঢাকা টু মুম্বাই বিমান ভাড়া ২,৫৫,০০০ থেকে ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
6. সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ঢাকা টু মুম্বাই বিমান ভাড়া ১,৪১,০০০ থেকে ৪,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
7. এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারলাইন্সঃ ঢাকা টু মুম্বাই বিমান ভাড়া হচ্ছে ইকোনোমিক ক্লাসের ১৫,২০০ টাকা থেকে ১৬,২০০ টাকা পর্যন্ত।
8. ভিস্তারা এয়ারলাইন্স ঢাকা টু মুম্বাই বিমান ভাড়া ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত।

ঢাকা টু মুম্বাই বিমান ভাড়া

ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি এয়ারলাইনস ইন্ডিগো ঢাকা-মুম্বাই-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে।হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ১৭৭ জন যাত্রী নিয়ে ইন্ডিগোর প্রথম ফ্লাইটটি দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে যায়।ভারতের হরিয়ানার গুরগাঁওয়ে ইন্ডিগোর সদর দপ্তর। এয়ারলাইনসটি সপ্তাহে এই রুটে ৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।প্রতি শনিবার, রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার তাদের ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে।

মুম্বাই থেকে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইট ছাড়বে স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১০টায়। বাংলাদেশ সময় দেড়টায় ঢাকায় অবতরণ করে ।এই রুটে যাওয়া-আসার ভাড়া ২৪ হাজার টাকা এবং একমুখী যাত্রার ভাড়া শুরু হবে ১৫ হাজার টাকা থেকে।বহরের আকার ও যাত্রীর হিসাবে ইন্ডিগো সবচেয়ে বড় কম ভাড়ার এশিয়ান এয়ারলাইনস।এয়ারলাইনসটি ৯৬টি গন্তব্যে দৈনিক ১ হাজার ৮০০ ফ্লাইট পরিচালনা করে। এর মধ্যে ৭১টি অভ্যন্তরীণ এবং ২৫টি আন্তর্জাতিক রুট রয়েছে।

ঢাকা টু মুম্বাই বিমানে যেতে কতক্ষণ সময় লাগে

আপনারা যারা ঢাকা থেকে মুম্বাই যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই জন্য রাখা প্রয়োজন ঢাকা থেকে মুম্বাই যেতে কত সময় লাগে। ঢাকা থেকে কয়েকটি এয়ারলাইন্স মুম্বাই এর জন্য যাতায়াত করে তার মধ্যে ওয়ান স্টপ, ননস্টপ ফ্লাইট চালু আছে। এখন ওয়ান স্টপ এবং ননস্টপ ফ্লাইটে কত সময় লাগবে নিচে থেকে দেখে নিতে পারেন।

1. ইন্ডিগো এয়ার ননস্টপ ঢাকা টু মুম্বাই যেতে সময় লাগবে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মতো।
2. ইন্ডিগো এয়ার ওয়ানস্টপ ঢাকা টু মুম্বাই যেতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টার মতো।
3. ভিস্তারা এয়ারলাইন্স ননস্টপ ঢাকা টু মুম্বাই যেতে সময় লাগবে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মতো।
4. ফ্লাই দুবাই ওয়ানস্টপ ঢাকা টু মুম্বাই যেতে সময় লাগে ৩০ থেকে ৩১ ঘণ্টার মতো।
5. সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ওয়ানস্টপ ঢাকা টু মুম্বাই যেতে সময় লাগে ১১ থকে ২২ ঘণ্টার মতো।
6. কাতার এয়ারওয়েজ ওয়ানস্টপ ঢাকা টু মুম্বাই যেতে সময় লাগে ১৬ থেকে ২৯ ঘণ্টার মতো।

ঢাকা থেকে মুম্বাই এর দূরত্ব কত কিলোমিটার

আপনি যদি ঢাকা থেকে মুম্বাই যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার মনের ভিতর একটি প্রশ্ন চলে আসে প্রশ্নটি হচ্ছে ঢাকা থেকে মুম্বাইয়ের দূরত্ব কত কিলোমিটার? কারণ আপনি যেকোনো জায়গা যাওয়ার আগে অবশ্যই সেই জায়গার দূরত্ব জেনে নেওয়া উচিত। ঢাকা থেকে মুম্বাইয়ের দূরত্ব হচ্ছে ২,১৭৮ কিলোমিটার।

Read More

বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া বিমান ভাড়া কত?

বাংলাদেশ ভারতের প্রতিবেশী দেশ, বিশেষ করে যোগাযোগ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াত এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সুবিধাজনক এবং সাশ্রয়ী। কেউ গাড়ি, বাস বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারে, তবে পরিবহনের সবচেয়ে উন্নত এবং দ্রুততম মাধ্যম হল বিমান দ্বারা।বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক ব্যবসা বা চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে যায়, গড়ে ৮০০ থেকে ১০০০ লোক নিয়মিত বেনাপোল সীমান্ত অতিক্রম করে। এখন সহজেই বিভিন্ন কাজের জন্য ভিসা পাওয়া যাচ্ছে, যার ফলে বিমান ভ্রমণ বেড়েছে। আগেই ভিসা নিতে হবে আপনি খুবি সহজে বিভিন্ন কাজের জন্য ভিসা নিতে পারবেন। ফ্লাইট সহজলভ্য হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াত সহজ হয়েছে।

অনেকে ব্যবসা বা অবসরের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করেন। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে ফ্লাইটের টিকিটের মূল্য জানা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াতের খরচ এখন আরো সাশ্রয়ী, এটি অনেক ভ্রমণকারীর জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হয়ে উঠেছে। এই পোস্টে, আমরা ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারত ফ্লাইট টিকিটের মূল্য নিয়ে আলোচনা করব।এয়ারলাইন টিকিটের দাম প্রায়শই ওঠানামা করে, অনেকটা স্টক মার্কেটের মতো। আপনি যদি 2 থেকে 5 দিন আগে টিকিট কিনে থাকেন তবে দাম অনেক বেশি পড়ে যায় । যাইহোক, আপনি যদি কমপক্ষে ২০ থেকে ২২ দিন আগে আপনার টিকিট বুক করেন তবে আপনি অনেক কিছুটা টাকা সেভ করতে পারেবন । বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া বিমান ভাড়া ৮৫০০ টাকা।

এয়ারলাইন্সের পলিসি

মনে করেন, একটি এয়ার ক্রাফটে ৫০ টি ইকোনমি ক্লাস সিট রয়েছে। এখন এয়ারলাইন্স সংস্থা এই ৫০ টি সিটের সবগুলোই কম প্রাইসে অথবা বেশী প্রাইসে সেল করতে চাইবে না। কারন কম প্রাইসে সেল করলে এয়ারলাইন্সের লস, আবার বেশী প্রাইস দিলে সেক্ষেত্রে টিকিট সেলই কমে যাবে। এজন্য তারা একটা মধ্যম পন্থা অবলম্বন করে। ৫০ ইকোনমি ক্লাস সিট কে তারা সাধারণত ৩ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে থাকে। এগুলোকে ‘ফেয়ার বাকেট’ বা ‘ক্লাস’ বলা হয়। ধরুন প্রথম অর্থাৎ ফেয়ার বাকেট ১ এ এয়ারলাইন্স ৫-৭ টি সীট রাখলো।এগুলোর টিকিট প্রাইস হবে সব চাইতে কম। ভাগ্য ভাল হলে এর যেকোন একটা পেয়ে গেলে আপনি যাত্রী হিসেবে লাভবান হবেন।

তবে এসব সিটের সুবিধাদিও কম থাকে, যেমন লাগেজ এলাউন্স সহ অন্যান্য সুবিধা কম পাবেন।কোন ফেয়ার বাকেটে কয়টি সিট থাকবে তার কোন ধরা বাঁধা নিয়ম নেই। এটা একান্তই এয়ারলাইন্সের সিদ্ধান্ত।ফেয়ার বাকেট ১ এর সেই ৫-৭ টি সিট বুক হয়ে যাবার পর ফেয়ার বাকেটটি ক্লোজ করে দেয়া হয়। এর পর ওই কম প্রাইসে আর কেউ টিকিট বুক করতে পারবে না। বুক করতে চাইলে তাকে যেতে হবে ফেয়ার বাকেট ২ তে। সেখানে হয়ত ১৫ থেকে ২০ টা সিট থাকতে পারে। সেগুলোর ভাড়া অবশই ফেয়ার বাকেট ১ এর চাইতে বেশী হবে। যথারীতি ব্যাগ এলাউন্স সহ অন্যান্য সুবিধাও আরেকটু বেশী পাওয়া যাবে। ঠিক সেভাবেই ফেয়ার বাকেট ৩ এর টিকিট প্রাইস এবং সুযোগ সুবিধা বেশী হবে। এক্ষেত্রে আসলে সুযোগ সুবিধার খুব একটা তারতম্য হয় না সাধারণ এয়ারলাইন্স গুলোতে।