প্রিয় ভিজিটরস আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। ভালবাসার আবেগ সবার মধ্যেই থাকে। যেকোনো একটি ব্যক্তির মাধ্যমে একজন মানুষের মনে ভালোবাসার আবেগ জেগে ওঠে। একজন ব্যক্তি যখন কারো প্রেমে পড়ে তখন সে তাকে নিয়ে ফেসবুকে ভালোবাসা নিয়ে বিভিন্ন আবেগী কথা শেয়ার করে। আবার প্রিয় মানুষকে ইনবক্সে বিভিন্ন এসএমএস প্রেরণ করে থাকে। প্রেমে পড়লে কেউ কেউ ভালবাসার আবেগী গল্প বা রোমান্টিক স্টোরিগুলো দেখতে পছন্দ করে। তাই যারা ভালোবাসার আবেগী গল্প করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আমাদের এই পোস্টে ভালোবাসার আবেগী গল্প সংযুক্ত করে দিয়েছি।
নতুন নতুন প্রেমে পড়লে সবার মনে ভালোবাসার আবেগগুলো বাড়তে থাকে। কাউকে ভালোবেসে যখন সে আবেগী হয়ে পড়ে তখন সেই প্রিয় মানুষটিকে তার মনের কথা জানানোর জন্য বিভিন্নভাবেই সে চেষ্টা করে। তবে অনেকেই সামনাসামনি বলতে লজ্জা বোধ করে। এজন্য সে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম কিংবা ব্যক্তিগতভাবে এসএমএস দিয়ে তার ভালোবাসার কথাটি জানিয়ে দেয়। আপনি যদি আপনার ভালোবাসার আবেগী কথাগুলো কাউকে জানাতে চান তাহলে এসএমএস এর মাধ্যমে জানাতে পারবেন। তাই আপনাদের জন্য আজকের এই পোস্টে কিছু ইউনিক আবেগের ভালোবাসার এসএমএস নিয়ে এসেছি। চলুন দেখে নেয়া যাক ভালোবাসার আবেগ নিয়ে লেখা আজকের এই পোস্ট।
ভালোবাসার আবেগ
একজন মানুষের মনে ভালবাসার আবেগ থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ এটি মানুষের একটি বৈশিষ্ট্য। যার মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য নেই সে হয় পাগল কিংবা প্রতিবন্ধী। একজন সুস্থ মানুষ যখন ভালোবাসাকে বিশ্বাস করে না তখন বুঝে নিতে হবে সে একদিন কাউকে ভালবেসে ছিল, কিন্তু তার বিনিময়ে সে কষ্ট পেয়েছে এবং সেই ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতিটি সুস্থ মানুষ একজন ব্যক্তিকে ভালোবাসে এবং তার সাথে প্রেম বা বিয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। এই পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে বাঁচতে হলে প্রতিটি মানুষের একজন সুন্দর মনের জীবন সঙ্গী দরকার। যার মাঝে থাকবে প্রেম ভালোবাসার আবেগ। প্রতিটি মানুষ এটাই আশা করে। অনেকেই পায় আবার অনেকেই পায় না।
ভালোবাসার আবেগের তাড়নায় কখন মানুষ কি করে ফেলে তা বুঝতেই পারে না। অনেক সময় মানুষ ভালোবাসার তারণাই পড়ে নিজের জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং তার মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে যায়। কোনটি সঠিক কোনটি ভুল এই জ্ঞানটুকু সে হারিয়ে ফেলে এবং সে তার নিজের মতো করে চলতে থাকে। সে চিন্তা করে যে সে যা করছে তাই বোধয় সঠিক। মানুষ তার নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে পাওয়ার জন্য যে কোন কাজ করতে রাজি আছে। হোক সেটা মন্দ কাজ। তাই ওই মুহূর্তে তার জ্ঞান লোপ পায়। কিছু মানুষের জীবন ভালোবাসার ফলে সুন্দর হয়ে ওঠে আবার কিছু মানুষের জীবন ভালোবাসার ফলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই ভালবাসতে হলে আমরা সঠিক মানুষটিকেই ভালোবাসবো।
ভালোবাসার আবেগী এসএমএস
১. এই এসএমএসটি আমার প্রিয় মানুষটির জন্য। আমি সারাদিন তোমায় অনেক মিস করি। দিন শেষে যখন তোমার সাথে কথা বলতে পারি, তখন আমার সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
২. তোমার একটি এসএমএস এর জন্য আমি সারা দিন অপেক্ষা করে বসে থাকি। যখন তুমি আমাকে একটি এসএমএস করো তখন আমার সারাদিনের অপেক্ষাটা পূর্ণতা পায়।
৩. আমার ফ্রেন্ডলিস্টের শত মানুষের মাঝে আমি শুধু তোমাকেই এসএমএস করি। তোমার সাথে এসএমএস করে আমি যে শান্তি পাই, তা অন্য কারো সাথে এসএমএস করে পাই না।
৪. তোমার সেই হাই- হ্যালো এসএমএসটি এখন আই লাভ ইউ-আই মিস ইউ এ পরিণত হয়েছে। এই এসএমএস এই একদিন আমরা একে অপরকে কবুল করে নেব সারা জীবনের জন্য।
৫. তুমি আমার এসএমএস এর রিপ্লাই না দেওয়া পর্যন্ত আমি শুধু ছটফট করতে থাকি। তুমি আমাকে একটু তাড়াতাড়ি এসএমএসের রিপ্লাই দিও প্রিয়।
৬. তোমার সাথে এসএমএস করা আমার দৈনন্দিন অভ্যাস হয়ে গেছে। একদিন তোমার সাথে এসএমএস না করতে পারলে আমার বুকের ভেতর হাহাকার শুরু করে দেয়।
৭. আমার ইনবক্স এসএমএসে পরিপূর্ণ হয়ে থাকলেও সর্বপ্রথম আমি তোমার এসএমএসটি চেক করে দেখি। কারণ আমি সব সময় তোমার এসএমএসের অপেক্ষায় থাকি।
৮. তোমার এসএমএস এর ওই ভয়েস কন্ঠ আমার মনটাকে কেড়ে নেয়। তোমার কথা অনেক মনে পড়লে আমি তোমার ওই পুরনো ভয়েসগুলো শুনতে থাকি।
৯. তোমার পুরনো মেসেজগুলো থেকে এক একটা গল্প হয়ে যাবে। তোমার পুরনো মেসেজগুলো আমাদের ভালোবাসার স্মৃতি হয়ে থাকবে।
১০. তোমার এসএমএস এ যখন কান্নার ইমোজি দেখতে পাই, তখন আমি আমার নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারি না। তোমার কোন কষ্ট আমি সহ্য করতে পারি না, কারণ আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
ভালোবাসার আবেগী গল্প-১
বয়সটা তখন খুবই অল্প, যখন আমি ক্লাস থ্রিতে পরি। তখন ভালোবাসার মানেটা বুঝতাম না। তবুও একটি মেয়েকে আমার খুবই ভালো লাগতো। স্কুলে যখন প্রথম দিন ওই মেয়েটি ভর্তি হয়েছিল তখন সাদা রংয়ের একটি ড্রেস পড়ে এসেছিল। সাদা রঙের ওই ড্রেসটিতে মেয়েটিকে পরীর মত লাগছিল। তার হাসিটা ছিল মায়ায় ভরা। অপরূপ ছিল তার চেহারার সৌন্দর্য।
তাকে দেখা মাত্র যে কেউ তার প্রেমে পড়ে যাবে এত সুন্দর ছিল তার চেহারা। তবে তার সাথে খুব বেশি কথা বলার সৌভাগ্য আমার হয়ে ওঠেনি। আমি মেয়েদের সাথে একটু কম কথাই বলতাম। তার মাঝে আবার ওই মেয়েটির প্রতি আমার দুর্বলতা ছিল বলে, মেয়েটির সামনে যাওয়ারও সাহস হয়নি আমার। খুব ভয় লাগত তার সাথে কথা বলতে।
যখন ওই মেয়েটির সাথে কথা বলার সৌভাগ্য হতো খুবই প্রয়োজনীয় দু-চারটি কথা ছাড়া অন্য কোন কথা বলতে পারতাম না। তবে কথা বলে চলে গেলে পরে আফসোস হতো, সুযোগ পেয়েও কোন কথা বলতে পারলাম না। তাকে আমি খুবই ভালবাসতাম। কিন্তু মুখ ফুটে এই কথাটি তাকে কোনদিন বলতে পারিনি। মাঝে মাঝে আমার মনে হতো সেও আমাকে ভালোবাসে।
তবে যাই হোক দিন কাটতে থাকে তার প্রতি আমার মায়া আরো বাড়তে থাকে। যতই প্রাইমারি স্কুল লাইফটা শেষ হয়ে যাচ্ছিল ততই মনে হচ্ছিল যে আমি ওই মেয়েটিকে সারা জীবনের মতো হারিয়ে ফেলবো। আর কোনদিন হয়তো তার সাথে দেখা হবে না। আমার ভাবনার মত সেই ঠিক একই ঘটনায় ঘটলো।
আজ প্রাইমারি স্কুল লাইফ শেষ। আজকে আমাদের স্কুলে বিদায় অনুষ্ঠান। আমাদের সব বন্ধু-বান্ধবের একত্রে ছেলেদের আলাদা ছবি এবং মেয়েদের আলাদা ছবি তোলা হলো। তখন আমার কাছে কোন ফোন ছিল না। ভেবেছিলাম ক্যামেরা ম্যানের থেকে মেয়েদের এক কপি ছবি নিয়ে রাখবো। পরে মেয়েদের ওই এক কপি ছবি নিয়ে আমার ভালোবাসার মানুষটির ওপর মার্কার দিয়ে মার্ক করে রেখেছিলাম। ছবিটা এখনো আমার কাছে আছে।
যাই হোক প্রাইমারি স্কুল লাইফ শেষ, বিদায় ও দিয়ে দিল। বিদায়ের দিন আমরা অনেক কান্নাকাটি করেছিলাম। তবে সমাপনী পরীক্ষার সময় তার পরীক্ষার সিট পড়েছিল আমার পিছনেই। আমাদের সাতটি পরীক্ষা হয়। ওই সাতদিনই আমার সাথে দেখা হয়েছিল। যেদিন সমাপনী পরীক্ষা শেষ হয় ওই দিনটি ছিল তার সাথে আমার শেষ দেখা। তারপর আজ পর্যন্ত তার সাথে আমার কোন দেখা হয়নি।
প্রিয়দর্শক, ভালোবাসার আবেগী গল্প পাঠ-২ পরবর্তী কোন পোস্টে পেয়ে যাবেন।
ভালবাসার আবেগ নিয়ে কিছু কথা
আবেগ ছাড়া জীবন চলে না। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই আবেগ আছে। তবে মানুষের মাঝে ভালোবাসার আবেগ একটু বেশি। বিশেষ করে মানুষ যখন যৌবনে পদার্পণ করে তখন তার মাঝে ভালোবাসার আবেগ একটু বেশি জেগে ওঠে। বয়সন্ধিকালের পর থেকেই একজন ব্যক্তি সব সময় চিন্তা করে তার একজন একান্ত ব্যক্তিগত প্রিয় মানুষ দরকার। তার চিন্তাধারার মধ্যে ভালোবাসার আবেগ প্রকাশিত হতে শুরু করে। সে তখন থেকেই একটি লাইফ পার্টনার খুঁজতে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় লাইফ পার্টনার খুঁজতে হয় না, আপনা আপনিই সে কারো না কারো প্রেমে পড়ে যায়। এভাবেই শুরু হয় প্রেম ভালোবাসা।
সম্মানিত পাঠক, আশা করি ভালোবাসার আবেগ নিয়ে লেখা আজকের এই পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রিয় মানুষটির হাত কখনো ছেড়ে দিবেন না। যেকোনো একজনে আসক্ত হয়ে তার হাতটি সারা জীবনের জন্য ধরবেন এবং সারা জীবন একসাথে কাটিয়ে দিবেন। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের এই পোস্ট শেষ করলাম। আসসালামু আলাইকুম।